নির্বাক বক্তব্য
আজ সকালে ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির শব্দে। চে।খ খুলেই দেখি জানালায় একজোড়া শালিক। মনে হচ্ছে শালিক যুগল আপন মনে ক্ষুনশুটি করছে।
আমি একটু নড়ে বসতেই পাখি দুটি ছুটাছুটি শুরু করলো। একটা পাখি বেরিয়ে গেলো কিন্তু আরএকটি বেরুনোর রাস্তা হারিয়ে ফেলে ভয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি শুরু করলো আর একসময় জানালার গ্লাসে দরাস করে বাড়ি খেয়ে পড়ে রইলো গ্রীল এর ভেতর।
। আমি খুবই আলতো হাতে পাখিটাকে ধরলাম।
অবাক কথা এই যে আমি পাখিটাকে ধরার পরও সে একটু নড়লো না। আমার দিকে করুণ এক দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো।
মনে হচ্ছিলো ও যেন আমায় কিছু বলছে যা ওর নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে বুঝাতে চাইছে
আমিও বুঝার চেষ্টা করলাম-----হ্যাঁ ও বলছে---- কি ভেবেছো তুমি??? আমি ডানা ঝাপটাবো?.? আস্ফালন করবো??প্রাণ ভিক্ষা চাইবো???
না না আমি তা চাইনা।
তোমরা মানবকূল নির্দয় নিষ্টুর, দিনের পর দিন গাছ কাটে বনভূমি উজার কর, অট্টালিকা বানাও, প্রাসাদ গড়ো একবারও কী ভেবে দেখো আমরা পক্ষী সঙ্কুল যাবো কোথায়??
তোমরা কি পারোনা তোমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় বা অট্টালিকার ছাদে গাছ লাগাতে। যাতে আমরা ও বেঁচে থাকতে পারি।তোমাদের প্রাসাদ অন্দরে প্রাণ বাচাঁতে যেন দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছুটাছুটি না করতে হয়।
আমি মূঢ় / বাকশূণ্য --- কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার হাতখানা শূণ্যে তুলে মেলে ধরলাম-----
পাখিটা ডানা মেলে উড়ে গেলো আকাশপানে--- কিচকিচ শব্দে তার সঙ্গীনিকে আহব্বান জনাতে জনাতে এক সময় শূণ্যে বিলীন হয়ে গেলো
Comments
Post a Comment