।।।।।।।।।। বিয়ে নিয়ে ভাবনা।।।।।।।।।। 
           #ফৌজিয়া সুবর্না#
                                
                                   
             ((((  লাভ মেরেজ মানে নিজের বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড কে বিয়ে করা আর এরেন্জ্ঞ মেরেজ মানে অন্যের গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করা।।)))))

বিয়ে হলো একজন মানুষের দৈহিক,মানসিক,
বংশধারা ও আত্মিক প্রয়োজন পূরনের একটি সমাজ ও ধর্মসিদ্ধ পক্রিয়া।
বিয়েটা শুধু জৈবিক চাহিদা পূরন, শুধু হানিমুন, রেস্টুরেন্ট বা রোমান্টিকতা নয় বরং বিয়ে হচ্ছে একটি দায়িত্ব।

এ দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত মনে করলেই কেবল একটি ছেলে বা মেয়ের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উচিৎ। 

আর বিয়ে সবসময় সম-সামাজিক,সম- সাংস্কৃতিক, সম- আর্থিক এবং সম-ধর্মীয় পরিমন্ডলে হওয়া উচিৎ। কারন বিয়েটা শুধু একটি নারী এবং পুরুষের নয়,দুই পরিবারের।

খালাতো, মামাতো ,চাচাতো, ফুফাতো সম্পর্কীয় বিয়ে করা মানে ,  নিজের পায়ে নিজে কুঁড়াল মারা ।
 আত্মীয়ের মাঝে আত্মীয়তা করাটাই ঠিক নয় ।
তাতে হিতের বিপরীত হয়।

স্বামী- স্ত্রী'র  বয়সের ব্যবধান অবশ্যই ৫/৭ বছরের উর্ধ্বে হওয়া উচিত নয় ।এর বেশি হলে জেনারেশন গ্যাপ বলে একটি কথা থাকে, যার ফলে একে অন্যের সাথে মানসিকতায় মিল হয় না আর সংসারে অশান্তি বিরাজ করে।

নিজ পাড়ায়, মহল্লায় বা একই গ্রামে অথবা পাশাপাশি গ্রামে বিয়ে না করাই ভালো ।অন্তত নিজের বাড়ি থেকে 10 কিলোমিটার দূরত্বে বিয়ে করা উচিত ।তাহলে সম্পর্ক ভালো থাকে ।এবাড়ির কথা ও বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
এতে দাম্পত্য জীবনের সুখ বজায় রাখা সম্ভব। অন্যথায়  অশান্তি তে ভোগতে হয়।
আজকাল আমাদের ধারণা প্রেম করবো একজনের সাথে আর বিয়ে করব  অন্য একজনকে। যাকে বিয়ে করবো তাকে অবশ্যই হতে হবে সুন্দরী/ সুদর্শন , ধর্মিক , চাকুরীজীবী।

একটু ভেবে দেখুন তো....
 লাভ মেরেজ মানে নিজের বয়ফ্রেন্ডক বা গার্লফ্রেন্ড কে বিয়ে করা আর এরেন্জ্ঞ মেরেজ মানে অন্যের গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড কে বিয়ে করা।।

হাস্যকর কথা হলো, আমরা ভাবছি যার সাথে প্রেম করবো তাকে বিয়ে করব না কিন্তু আসলে করছি টা কি!!!!!!!!!

 সত্যিকারের সুখী এবং আনন্দপূর্ণ পরিবার গঠনের জন্যে একটি ছেলে বা মেয়ের তাকেই বিয়ে করা উচিৎ, যাকে সে সম্মান করতে পারে,সহযোদ্ধা মনে করতে পারে এবং যে তার কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে কাজ করবে এবং তার জন্যে প্রয়োজনে সবকিছু বিসর্জন দিতে পারবে।

স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হওয়া উচিত বন্ধুত্বপূর্ণ । শুধু দায়িত্ব পালন নয় একে অন্যকে বোঝার মানসিকতা, মূল্যায়ন করা এবং সর্বোপরি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ উভয়ের প্রতিই থাকা উচিত।

তাই বিয়ের জন্যে শুধু সৌন্দর্য বা অর্থবিত্ত বা উচ্চ ডিগ্রি নয়,ভালো মানুষ খুঁজতে হবে,যার সাথে চেতনার মিল আছে এবং যিনি এ জীবনের পরেও পরপারে সঙ্গী হতে পারে।

বিয়েটা আবেগ বা কল্পনা নয় বিয়ে হচ্ছে বাস্তব। আর যেসব বিয়েতে বাস্তবতার পর্যবেক্ষন কম থাকে সেইসব বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে না।

বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদ বা সংসারে অসুখী হওয়ার একমাত্র কারন বিয়ে নিয়ে বাস্তব সম্মত চিন্তার অভাব।

একজনকে দেখে পছন্দ হয়েছে বা
প্রেম হয়েছে তাকে বিয়ে করতে হবে।

কিন্তুু বিয়ে এবং প্রেম এক নয়।কোনদিনও এক হবে না।
কারন  প্রেমে কোন দায়িত্ব থাকে না,প্রেম হলো কল্পনা কিন্তুু বিয়ে মানে দায়িত্ব এবং বাস্তব।

আর বর্তমানের প্রেক্ষাপটে যেখানে বিবাহই ক্ষনস্হায়ী হয়ে গেছে সেখানে প্রেমের অস্তিত্ব চিন্তা করাটাই বোকামী।

সর্বশেষ কথা হল জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী নির্বাচনে অবশ্যই সচেতন হোন আর ভেবেচিন্তে কাজ করুন।

Comments

  1. একদম সত্য কথা এবং বাস্তবতার কথা বলেছেন।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

ইচ্ছে নেই